বাজারে ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের দাম। ফাইল ছবি
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এমনিতেই বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। তারওপর গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে পণ্যের সরবরাহ। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। এতে বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে। পাশাপাশি কমেছে পণ্য সরবরাহ। ফলে আগের কেনা মালামালই বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি গোল বেগুন ৯০-১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৭০-৮০, ঢ্যাঁড়শ ৫০, বরবটি ৬০, মুলা ৫০, লতি ৬০-৮০, কহি ৬০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৬০, টমেটো ১৬০, শিম ২০০ ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়; প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।
বাজারে কমতির দিকে থাকা কাঁচা মরিচের ঝাল আবারও বাড়ছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৬০ টাকার মতো।
বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমেছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আবার কমে আসবে।
এদিকে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়। এছাড়া চাষের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০-২৮০ টাকায়, চাষের শিং প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ টাকা, আইড় ৭৫০-৮০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।