এডিপি: সব রাজনৈতিক প্রকল্প বাদ, যাচাই চলছে ঠিকাদারদের বিল

এডিপি: সব রাজনৈতিক প্রকল্প বাদ, যাচাই চলছে ঠিকাদারদের বিল
প্রকাশিত

আগের অর্থবছর শেষ হয়েছে প্রায় ১ মাস আগে। তারপরও জুন পর্যন্ত উন্নয়ন বাজেটের কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তার তথ্য প্রকাশ করেনি পরিকল্পনা বিভাগ। তবে কার্যক্রম যে ঢিমেতালে চলছে তার নজির মিলছে জুলাই থেকে মে মেয়াদের প্রতিবেদনে।

বলা হচ্ছে, গেলো অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে খরচ করা গেছে মাত্র ৪১ ভাগ অর্থ।

পরিকল্পনা বিভাগ অবশ্য এটিকে ধীরগতি বলতে নারাজ। বলা হচ্ছে, বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে ছোট ও গণমুখী উদ্যোগে বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। বাদ দেয়া হয়েছে আগের সরকারের দেয়া রাজনৈতিক প্রকল্প।

যাচাইবাছাই করা হচ্ছে অনেক ঠিকাদারের বিল। তাই কমেছে সার্বিক অর্থছাড়। শুধু অর্থব্যয়ের জন্য প্রকল্প নেয়া ঠেকাতে সতর্ক করা হয়েছে মন্ত্রণালয়গুলোকে।

আর সহসাই থামছে না বরাদ্দহীন প্রকল্প বাস্তবায়ন। তবে ধাপে ধাপে এই তালিকা বিলুপ্ত করা হবে। তখন আগাম বাজেট বরাদ্দ ছাড়া কোনও প্রকল্পই বিবেচনা হবে না। নতুন অর্থবছরে এমন নির্দেশনা পেয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, এডিপি বাস্তবায়নে নতুনত্ব আনার চেষ্টা চলছে। তবে দ্রুত প্রশাসনের সব পর্যায়ে মানসিকতা বদলানো কঠিন।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেছেন, ভবন, অবকাঠামো বানানো এগুলো সহজ। এ ধরনের প্রকল্প বেশি আসে। কিন্তু ধরা যায় শিক্ষার একটা গুণগত মানে উন্নয়নের জন্য একটা প্রকল্প, সেটা নিতে হলে শুধুমাত্র তো মন্ত্রণালয় একা পারবে না। তাহলে আমার ধারণা একটা আলাদা একটা টেকনিক্যাল কমিটি থাকা উচিত। যারা সারা বছর চিন্তা করবে, ওটা নিয়ে নিয়ে কি ধরনের প্রকল্প মন্ত্রণালয় নিতে পারে।

এখন এডিপি বইয়ের সবুজ পাতার বরাদ্দহীন তালিকা যাচাই করছে পরিকল্পনা কমিশন। চলতি অর্থবছরের মধ্যে এমন ২৫৮টি প্রকল্প বাধ্যতামূলকভাবে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে চারশর উপরে। অর্থ সংকট হলে বরাদ্দহীন প্রকল্প বাস্তবায়ন সফল হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় যেটা নেয়া হয়েছে, যেসব প্রকল্পগুলোকে একটু বিবেচনায় আনা উচিত। সেগুলোর মূল্যায়নটা যে অতিমূল্যায়ন হইছে বলে আমাদের কাছে মনে হয় বা আমরা দেখেছি। সেই জায়গাতেই একটু ইন্টারসেপ্ট করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১টি সভা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

আরো পড়ুন

No stories found.
logo
The Metro TV | দ্য মেট্রো টিভি | The Metro TV Bangladesh | Bangla News Today | themetrotv.com |The Metro TV News
themetrotv.com