
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পরও রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, দেশের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে খরচ কমিয়ে আনা হচ্ছে। এতে রপ্তানিকারকরা লাভবান হবেন এবং দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত ‘মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এখন সময় এসেছে রপ্তানি বহুমুখীকরণের। শুধু একটি বা দুটি পণ্যের ওপর নির্ভর করে থাকা সম্ভব নয়। উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতা বাড়াতে ও দুর্নীতি কমাতে কাজ করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুহাইল কাসিম বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিদেশি সহায়তা কমে যাবে। তাই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভিত আরও মজবুত করতে হবে।
বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, দেশের জিডিপিতে ৩০ শতাংশ অবদান রাখছে এসএমই খাত। তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতেও মনোযোগ দিতে হবে। তিনি জানান, প্লাস্টিক শিল্পের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এখন ২০ শতাংশের মতো।
আইসিসিবিতে শুরু হওয়া এই দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ১২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। চামড়া, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপসহ নয়টি দেশের ২৫টি আন্তর্জাতিক সোর্সিং এজেন্ট ও ক্রেতাও উপস্থিত রয়েছেন।
এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের বৈচিত্র্য তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টির পথ তৈরি হবে বলে মনে করছে আয়োজক পক্ষ।