
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২ নম্বর গেট এলাকায় আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এতে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি, প্রক্টরসহ প্রায় ৩৫ শিক্ষার্থী।
রোববার (৩১ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
এসময় সেখানে প্রো ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। এরমধ্যেই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে প্রোভিসি, প্রক্টরসহ আহত হয় প্রায় ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়। তবে ঘটনাস্থলে দেখা মেলেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যর। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ১১টায় দেরিতে ভবনে প্রবেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও রোববার দুপুর ১২ টা থেকে আবারও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে টহল দিতে দেখা যায় স্থানীয়দের। খবর পেয়ে দল বেঁধে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যায়। এতে মুখোমুখি অবস্থানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী রাত সোয়া ১১ টায় তার ফ্ল্যাট বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে তাকে মারধর করে বাসার দারোয়ান। আশেপাশের শিক্ষার্থীদের দেখে দারোয়ান পালিয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে স্থানীয়রা।
এতে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা।