
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে সব পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উক্ত দুর্ঘটনার কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী অন্যান্য পরীক্ষার তারিখ ও সময় অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা)/ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র/গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র/উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল।
এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার কিছু পর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের উপর পড়ে। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমান এবং ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার সময় ভবনটিতে অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। পরে বিজিবি ও সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। হতাহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। যার মধ্যে ২৫ জন শিশু বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এছাড়া আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক শিক্ষার্থী ও আহত ব্যক্তি।