
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, এক বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের চিন্তা-ভাবনাকে সম্মানের সঙ্গে দেখা।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতি। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন তোমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখবে, এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের দ্বিতীয় পরিবার, আর এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তোমাদের পরিবারের সদস্য।
বাকৃবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও শাখার পরিচালক, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও নবীন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবাগত ১ হাজার ১১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই এবং রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। আগামী সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে। এ ছাড়া আগামীকাল রোববার বিভিন্ন অনুষদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদেরকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। এখন থেকে প্রতি সেমিস্টারে ফলাফল ও উপস্থিতি তোমাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে, যাতে তারা জানতে পারেন তাদের ছেলে-মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী করছে।
তিনি আরও বলেন, তোমাদেরকে দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আসলেও তা অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছে। এখন উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের কাছ থেকে মেসেজের উত্তর আসতে ২৪ ঘণ্টাও লাগে না। তোমরা এ সুযোগগুলোকে কাজে লাগাবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।