সোমার এই অসাধারণ কীর্তির পেছনে রয়েছে তার অদম্য ইচ্ছা ও আত্মবিশ্বাস। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সোমা আক্তার বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই কোরআনকে খুব শ্রদ্ধা করি। তাই আমি ভাবলাম, নিজ হাতে কোরআন লিখে তার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করি?’
প্রথমদিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও, সোমা প্রতিদিন নিরলস পরিশ্রম করে প্রত্যেক দিন টানা তিন চার ঘণ্টা করে সময় দিয়ে কোরআন লেখা শেষ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আট মাস ধরে লিখেছি। যখন শেষ করেছি, আমার কষ্ট হয়েছে, কিন্তু শেষ করার পর আমার ভালো লাগছে। মানুষ দেখতে আসছে। প্রশংসা করছে।’
সোমার এই উদ্যোগ স্থানীয় মুসলিম সমাজে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার এলাকার মানুষ কোরআন লেখা দেখতে আসছেন, যেখানে এলাকার বহু মানুষ সোমার প্রতিভা ও দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়েছেন। সোমার শিক্ষক এবং পরিবারের সদস্যরা তার এই উদ্যোগের জন্য গর্বিত। তার মা-বাবাও সোমার এ কোরআন লেখা নিয়ে গর্ববোধ করেন। সোমা আশা করেন, তার এই প্রচেষ্টা অন্যান্য যুবক-যুবতীদের উৎসাহিত করবে। কোরআন লেখার ও শেখার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে বলব, চেষ্টা করলে কিছুই অসম্ভব নয়।’