
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও প্রতিভা ও অদম্য মনোবলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন কিশোরগঞ্জের হাফেজ শেখ মাহমুদুল হাসান আশরাফী। বাংলাদেশি এই হাফেজ বর্তমানে মালদ্বীপে তার সুমধুর কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে দেশটির জনগণের মাঝে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। মালদ্বীপ সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে তিনি দেশটির হুলহুমালে শহরের আল ওয়ালিদাইন মসজিদে তারাবিহ নামাজের ইমামতি করছেন।
১৯ বছর বয়সী আশরাফী তার তেলাওয়াতের মাধুর্য এবং হৃদয়স্পর্শী সুর দিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও মুগ্ধ করেছেন।
প্রতিভাধর এই হাফেজ শুধু মালদ্বীপেই নয়, তিনি আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায়ও বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অস্ট্রিয়া, ভারত, ইরান, লিবিয়া সহ বিভিন্ন দেশে অংশগ্রহণ করে তিনি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। তার তেলাওয়াতের সূর ও সুরের মাধ্যমে পবিত্র কোরআনের শিক্ষাকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
মালদ্বীপ, যে দেশটি শতভাগ মুসলিম প্রধান, সেখানে প্রায় চার হাজার মসজিদ রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে বেশিরভাগ মসজিদে খতমে তারাবি পড়ানো হয়, এরই ধারাবাহিকতায় হুলহুমালে শহরের আল ওয়ালিদাইন মসজিদে বিশেষ আমন্ত্রণে তারাবি নামাজের ইমামতি করছেন আশরাফী। তার তেলাওয়াত শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য এক বিরল গৌরব হয়ে দাঁড়ানো এই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজের অর্জন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে গর্ব ও আনন্দের এক নতুন উৎস হয়ে উঠেছে। তারা আশা করেন, তার প্রতিভা ও নিরলস প্রচেষ্টা কোরআনের শিক্ষার বিস্তার ও তার প্রচারনায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।