
ডাক্তার ও রোগীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে দেশে প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব সিস্টিক ফাইব্রোসিস দিবস’ পালিত হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় ব্যক্ষব্যাধি হাসপাতালে ‘দ্যা চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, আগে এই রোগকে সাদা চামড়ার ইউরোপীয় ডিজিজ হিসেবে দেখা হতো। বর্তমানে দেশে জন্মগতভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সিস্টিক ফাইব্রোসিস সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ডাক্তাররা এই রোগকে অ্যাজমা, নিউমোনিয়া বা যক্ষা হিসেবে চিকিৎসা দিত।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, বাচ্চাদের ঘনঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা পায়খানায় সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এ সময় সিস্টিক ফাইব্রোসিস সম্পর্কে ডাক্তারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, সিস্টিক ফাইব্রোসিস একটি প্রাণঘাতী জন্মগত রোগ। জিনগত ত্রুটির কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হলে ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, লিভার, পরিপাকতন্ত্র ও প্রজননতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। ইউরোপীয় ও আমেরিকানদের মধ্যে এই রোগ বেশি হলেও বর্তমানে এশীয়ায়ও এই রোগে শনাক্তের হার বাড়ছে।