রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট। বলা হচ্ছে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে কিছু ‘হুমকিমূলক ইমেইল’সহ প্রতিবাদ ও কড়া শব্দের ইমেইল পাঠানোয় পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকায়, পাসপোর্টগুলো ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দ্য প্রিন্ট বলছে, ভারতীয় সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, জরুরি ভিসার জন্য মাত্র কয়েকশ অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে মেডিকেল, স্টুডেন্ট এবং ডাবল এন্ট্রি ভিসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, গত মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনেকাংশে বন্ধ থাকায়, বহু ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ঢাকার হাইকমিশনের কাছে থেকে যায়। পরে ‘উত্তেজিত’ আবেদনকারীরা হাইকমিশনকে বেশ কিছু ইমেইল পাঠায়, যার মধ্যে ভাঙচুরের হুমকিও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে কর্মীদের হেনস্থা করারও অভিযোগ ওঠে। অনেকে হাইকমিশনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিয়েছেন বলেও দাবি সংশ্লিষ্টদের।
একটি সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছে,
৫ আগস্ট থেকে ভিসা প্রদান বন্ধ রয়েছে। কর্মী স্বল্পতার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু জরুরি ক্ষেত্রে এবং কিছু ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে ভারতে আসতে হয় এমন লোকদের জন্য ডবল এন্ট্রি ভিসার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। বাকি সব পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে।
এদিকে, আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করেও ভিসার আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: দ্য প্রিন্ট