

বিজয় দিবস, ১৬ ডিসেম্বর, শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে ও কমিউনিটির মধ্যেও স্মরণীয়ভাবে উদযাপিত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং প্রবাসী কমিউনিটি এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করে। অনুষ্ঠানগুলো মূলত জাতীয় শোভা, স্মরণসভা, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
১. দূতাবাস ও কূটনৈতিক অনুষ্ঠান
দেশের বিভিন্ন দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি বা রাষ্ট্রদূতের বাণী পাঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা, ছবি প্রদর্শনী ও স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন থাকে।
২. প্রবাসী কমিউনিটির আয়োজন
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও অন্যান্য দেশে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি বিজয় দিবস উদযাপন করে। অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে থাকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশু-কিশোরদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনেক স্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প ও ইতিহাস তুলে ধরে।
৩. সাংস্কৃতিক ও স্মরণসভা
অনুষ্ঠানগুলোতে প্রায়ই মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, স্বাধীনতার সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক বা গান পরিবেশন করা হয়। প্রবাসীরা এই দিনটিকে একটি সংহতি এবং জাতীয় চেতনা উদযাপনের দিন হিসেবে গ্রহণ করে।
সারসংক্ষেপে, দেশের বাইরে বিজয় দিবস উদযাপন মূলত প্রবাসীদের জন্য একটি জাতীয় ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলার রূপ নেয়, যেখানে তারা স্বাধীনতার মাহাত্ম্য ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে স্মরণ করে।