
দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা দখল করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং সেখানে হামাস ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট নয় এমন একটি বেসামরিক সরকার গঠন করতে চান তারা।
রোববার (১০ আগস্ট) বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
নেতানিয়াহু জানান, বর্তমানে গাজার ৭৫ শতাংশ অঞ্চল ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, বাকিটা হামাসের হাতে রয়েছে। হামাসকে সরিয়ে দিতে গাজা সিটি ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন তিনি। তবে হামলার আগে বেসামরিক মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য করিডোর এবং পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান।
তার ভাষায়, “সাধারণ মানুষ নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য আমরা নিরাপদ করিডোর ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ঠিক করে দেব। সেখানে তারা পর্যাপ্ত খাবার, পানি, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।”
যুদ্ধ বন্ধের জন্য পাঁচটি শর্তও পুনর্ব্যক্ত করেন নেতানিয়াহু। শর্তগুলো হলো, হামাসকে নিরস্ত্রকরণ, সব জিম্মিকে মুক্তি, গাজাকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রকরণ, ইসরায়েলের হাতে গাজার সর্বাত্মক নিরাপত্তার দায়িত্ব, হামাস ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট নয় এমন সরকার গঠন করা।
তিনি বলেন, “যদি হামাস অস্ত্র ফেলে দিয়ে জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তবে যুদ্ধ এখনই বন্ধ হয়ে যাবে।”
নেতানিয়াহু দাবি করেন, গাজার জনগণকে অভুক্ত রাখার কোনো নীতি ইসরায়েলের নেই। যদি তা থাকত, তবে দুই বছরের যুদ্ধে সবাই মারা যেত। বরং তার অভিযোগ, হামাস গাজার সাধারণ মানুষের জন্য পাঠানো ত্রাণ চুরি করছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাতব্য সংস্থাগুলো বলেছে, হামাস ত্রাণ চুরি করছে, এমন কোনো শক্ত প্রমাণ নেই। বরং ইসরায়েলের অবরোধের কারণেই গাজায় অনাহারে প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপুষ্টিতে ভুগছে হাজারো শিশু।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জিম্মিদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে নেতানিয়াহু বলেন, জীবিত জিম্মিদের মুক্ত করা এবং মৃতদের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।