শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কর্মকর্তারা জানান, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ রয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দিল কুমার তামাং রয়টার্সকে জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে আরও ৬৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ৪ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। বন্যার কারণে এখানে যানবাহন চলাচল এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
কাঠমান্ডুর কিছু কিছু জায়গায় গত দিনে ৩২২.২ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। ঘরের ছাদে বা উঁচু মাটিতে আটকা পড়া লোকদের উদ্ধার করতে উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টার এবং রাবার বোট ব্যবহার করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেপালের বেশিরভাগ নদীর পানি উপচে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বেশ কয়েকটি সেতু ধ্বংস হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি বলেছেন, ২৮টি জায়গায় ভূমিধসের কারণে মহাসড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার এবং রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
কাঠমান্ডুর আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী কর্মকর্তা বিনু মাহারজান বলেছেন, রোববার পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে এবং রোববারের পর আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী ভারতের কিছু অংশে একটি নিম্নচাপ হওয়ার কারণে এই বছর নেপালে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিনজি শেরপা বলেছেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো চলছে, তবে অনেক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্বের কোশি নদী, যা ভারতের পূর্ব প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে প্রায় প্রতি বছর মারাত্মক বন্যা ঘটায়।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি এই দেশটিতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষ মারা যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে জুনের মাঝামাঝি বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ভূমিধস, বন্যা এবং বজ্রপাতের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫৪ জন মারা গেছেন এবং ৬৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন।