
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি চাইলে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ ইস্যু মীমাংসা করতে হবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালায় রাশিয়া। এর আগে আট বছর ধরে দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহী ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছিল। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে অপমান করেছে এবং ন্যাটোকে ক্রমাগত পূর্বদিকে সম্প্রসারণ করেছে। এর ফলে ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে টেনে আনার চেষ্টা হয়েছে, যা বর্তমান সংকটের মূল কারণ।
তিনি বলেন, 'ইউক্রেন সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য এই মূল কারণগুলো দূর করতে হবে। নিরাপত্তা খাতে ন্যায্য ভারসাম্যও ফিরিয়ে আনতে হবে।'
২০০৮ সালে ন্যাটো ঘোষণা দিয়েছিল—একদিন ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে সদস্য করা হবে। ২০১৯ সালে ইউক্রেন তাদের সংবিধানেই ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের অঙ্গীকার যুক্ত করে।
পুতিন দাবি করেন, সম্প্রতি আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে যে সমঝোতা হয়েছে, সেটিই শান্তির পথে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ বিষয়ে তিনি শি জিনপিংসহ এসসিও নেতাদের বিস্তারিত জানিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীন ও ভারতের প্রস্তাব ও প্রচেষ্টা আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। রাশিয়া–যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে হওয়া সমঝোতাও শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে বলে আশা করছি।'
বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো চীন ও ভারত—বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ থেকে তারা বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় আমদানির ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে, তবুও ভারত-চীন রুশ তেল কেনা চালিয়ে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।