
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জয় হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠক সামনে রেখে এই মন্তব্য করলেন তিনি।
তিন বছরেরও বেশি ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের সম্ভাব্য উপায় খুঁজতে আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন পুতিন ও ট্রাম্প। বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক ঘিরে বিশ্ব-রাজনীতিতে চলছে নানা আলোচনা।
গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে ওরবান বলেন, ‘আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি যেন এটি একটি উন্মুক্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি, কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা এই যুদ্ধে হেরে গেছে। রাশিয়া জিতে গেছে।’
সাক্ষাৎকারে ওরবান আরও বলেন, ‘এখন একমাত্র প্রশ্ন হলো, কখন এবং কোন পরিস্থিতিতে পশ্চিমারা, যারা ইউক্রেনীয়দের পিছনে রয়েছে, তারা স্বীকার করবে যে এটা ঘটেছে এবং এর ফলে কী হবে।’
২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ওরবানের সরকার ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যার বিরোধিতা করে আসছেন ওরবান।
পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক সামনে রেখে গত সোমবার (১১ আগস্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। তাতে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেনের তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকা উচিত। হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র সদস্য যে এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি।
ওরবান ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের ইইউ সদস্যপদ লাভেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ হাঙ্গেরির কৃষক এবং বৃহত্তর অর্থনীতির ওপর বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় না বসায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সমালোচনাও করেন ওরবান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের নেতৃত্বে পুতিনের সাথে আলোচনার সুযোগ ইউরোপ হাতছাড়া করেছে এবং এখন তাদের সম্পৃক্ততা ছাড়াই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ওরবানের কথায়, ‘আপনি যদি আলোচনার টেবিলে না থাকেন, তাহলে আপনি আলোচনার মেনু তথা বিষয়বস্তু হিসেবে থাকবেন।’