মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের হাতে ধরা পড়া রায়ান রাউথ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। ৫৮ বছর বয়সি অভিযুক্ত রাউথের বাড়ি নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে। তিনি এক সময় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও রায়ান একাধিকবার সশস্ত্র লড়াইয়ে অংশ নেয়ার চেষ্টা চালান।
বিশেষ করে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর যুদ্ধে অংশ নিতে ইউক্রেন গিয়েছিলেন রায়ান। তবে বয়সের কারণে যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্যানুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও প্রয়োজনে জীবন দেয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছিলেন রাউথ।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে এক বিক্ষোভেও দেখা গিয়েছিল রায়ান রাউথকে। সে ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রও রয়েছে বার্তা সংস্থাটির কাছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনার আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে।
ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টার পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে রায়ানের দুই ছেলে অ্যাডাম ও ওরানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সন্তানরা জানান, তাদের বাবা এ ধরনের কোনো কাজ করতে পারেন না। তিনি একজন ভালো মানুষ।
রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজ গলফ ক্লাবে খেলার সময় সীমানা প্রাচীরের বেড়া দিয়ে একে-৪৭ রাইফেলের নল ঢুকিয়ে ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন রায়ান রাউথ। এ ঘটনা দেখে ফেললে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা।
এসময় বন্দুক ফেলে গাড়িতে পালিয়ে যান রাউথ। অবশ্য এর কিছুক্ষণ পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাউথের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযৈাগ করেছেন, তাকে হত্যা চেষ্টাকারী রায়ান ওয়েসলি রাউথ জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিসের মতবাদকে সমর্থন করতেন।
এ ঘটনার পর তার নির্বাচনী সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে বলে মনে করছেন ট্রাম্প। তবে সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যের পাল্টা কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের কাছ থেকে।