
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনারা ‘সমঝোতা অনুযায়ী নির্ধারিত নতুন অবস্থানে মোতায়েন সম্পন্ন করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ কমান্ডের সেনারা এলাকায় অবস্থান করছে এবং তারা ‘যে কোনো তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে।’
আইডিএফ নিশ্চিত করেছে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং গাজায় নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই মানবিক সহায়তা প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। তবে তা শুরু হয়েছে কিনা, এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলি বাহিনী প্রথম ধাপের সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে, যা আলোচনায় নির্ধারিত সীমান্তরেখা পর্যন্ত সীমিত থাকবে।
সমঝোতা অনুযায়ী, সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবশিষ্ট সব ইসরায়েলি জিম্মি ও প্রায় ১৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাসের জন্য এই সময়সীমা সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
তবে ঠিক কখন এবং কোথায় বন্দিমুক্তি কার্যক্রম হবে—তা এখনও জানা যায়নি।
মাত্র ১২ ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল নিশ্চিত করে যে তারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি মেনে নিয়েছে, যা গাজা যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়। এর পরই সেনারা গাজা উপত্যকার ভেতরে সমঝোতাকৃত অবস্থানে ফিরে যায়, এবং কিছুক্ষণ আগে আইডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেয়।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি মুক্ত করতে হবে।
মধ্যরাতের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি।’ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলি ও গাজার মানুষ উভয়ই স্বস্তি ও উদযাপনে মেতে ওঠেন। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা অপারেশন সমন্বয়ে সহায়তার জন্য ২০০ সেনা পাঠিয়েছে, তবে তারা গাজায় প্রবেশ করবে না। এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ইতোমধ্যে সহায়তা কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তি এখনো অনিশ্চিত। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ভবিষ্যৎ আলোচনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বড় ইস্যু হিসেবে রয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি