শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাবালিয়া শিবিরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। খবর আলজাজিরার।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা হচ্ছে। এছাড়া এ হামলায় আরও ৮৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
জাবালিয়া গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে গত দুই সপ্তাহ ধরে আবারও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শরণার্থী শিবিরটিতে পুনরায় সংগঠিত হয়েছে হামাসের যোদ্ধারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১২০০ ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে আসে সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধারা।
হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিনই গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা তাদের এসব বর্বরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি মানুষ।
এদিকে গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। অন্তত এক বছর ধরে গোপন অবস্থানে থাকার পর ইসরাইলি বাহিনীর হাতেই মৃত্যু হয় তার।
ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স জানায়, অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার রাতেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলের তাল আল সুলতান এলাকায় টহলে বের হয়েছিলেন ইসরাইলি সেনারা। এ সময় তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেদিনকার মতো ফেরত যান সেনারা। পরদিন সকালে নিহতদের পরীক্ষা করতে এলে তাদের একজনের সঙ্গে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মিল খুঁজে পান তারা। পরিচয় নিশ্চিত করতে তার দেহের একটি নমুনা পাঠানো হয় ইসরাইলে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত করে তার মৃতদেহ ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়।