আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ৬০০ মানুষকে। ছবি: সংগৃহীত
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম) নামে পরিচিত সশস্ত্র দলটি মোটরসাইকেলে করে বারসালোঘোতে এসে গ্রামবাসীর ওপর অতর্কিতে গুলি চালায়।
নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকরা তাদের শহর রক্ষার জন্য পরিখা খননের সময় তাদের লক্ষ্যবস্তু করে গুলি চালানো হয় বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
হামলার পর জেএনআইএমপন্থি অ্যাকাউন্টগুলো থেকে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল থেকে জঙ্গিরা গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছে ২০০ জন। জেএনআইএম জানিয়েছে, এই সংখ্যা ৩০০। তবে সিএনএন, একটি ফরাসি সরকারের নিরাপত্তা মূল্যায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৬০০ লোক মারা গেছেন।
তবে এক বিবৃতিতে জঙ্গি গোষ্ঠীটি জানায়, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে জোটবদ্ধ মিলিশিয়া সদস্যরা; বেসামরিক মানুষ নয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএনআইএম এক মন্তব্যে বলেছে, ‘এই হামলায় যাদের নির্মূল করা হয়েছে তারা বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত মিলিশিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।’
একজন ফরাসি কর্মকর্তা বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনকে বলেছেন নিরাপত্তা বাহিনী ঠিকমতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারছে না বলে সশস্ত্র-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শহরের চারপাশে স্থানীয়দের একটি পরিখা নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য সামরিক নির্দেশকে কেন্দ্র করে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় একজন জীবিত ব্যক্তি জানান, ‘সে সময় আমার চারপাশে সর্বত্র রক্ত ছিল। সবখান থেকে চিৎকার ভেসে আসছিল। আমি একটি ঝোপের নিচে নেমে পড়লাম, বিকেল পর্যন্ত সেখানে লুকিয়ে ছিলাম।’
এই ঘটনাটিকে সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে আফ্রিকার সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস