

চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহীগোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। উত্তরাঞ্চলের দুটি শহর থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা গোষ্ঠীটি। উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘর্ষে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমঝোতা।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরে তীব্র সংঘাত চলছিল জান্তা সেনা ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। এতে বাড়ছিল হতাহতের সংখ্যা। অবশেষে চীনের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি টিএনএলএ।
চীনের কুনমিংয়ে কয়েকদিনের আলোচনার পর মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় তারা মান্দালয়ের মোগক ও শান রাজ্যের মোমেইক শহর থেকে সরে যাবে। তবে সময়সীমা জানানো হয়নি।
চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষই সামরিক অগ্রগতি স্থগিত রাখবে। টিএনএলএ দাবি করেছে, জান্তা বাহিনী বিমান হামলা বন্ধে সম্মত হয়েছে। যদিও জান্তার পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
টিএনএলএ মিয়ানমারের থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য। জোটে আরও আছে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই জোট জান্তা সরকারবিরোধী শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখল করেছিল। তবে চীনের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর তাদের অগ্রগতিতে ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিয়ানমারের জান্তা ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতে চীনের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে বেইজিং এখন প্রকাশ্যেই জান্তা সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সেনা সরকার এখন অবস্থান মজবুত করছে, যদিও বহু এলাকা এখনো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।
