ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে চীন
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির বেইজিং সফরের প্রাক্কালে চীন ঘোষণা করেছে, তেহরান-বেইজিং সম্পর্ক বহুমাত্রিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর হবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
গুও জিয়াকুন বলেন, "চীন ও ইরান বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ ও সহযোগিতা বজায় রেখেছে। আমরা ইরানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও উন্নয়নে আগ্রহী।" তবে আসন্ন সফরের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট তথ্য আমার জানা নেই।"
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই আগেই জানিয়েছিলেন, আব্বাস আরাঘচি পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) এবং ইরানের সঙ্গে বিশ্ব শক্তিগুলোর চলমান আলোচনা নিয়ে চীনের সঙ্গে মতবিনিময় করতে মঙ্গলবার বেইজিং যাচ্ছেন। বাঘাই বলেন, "এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো চীনকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা।"
গত সপ্তাহে রাশিয়া সফরকালে আরাঘচি সাংবাদিকদের বলেন, "ইরান পারমাণবিক ইস্যুতে তার মিত্র দেশগুলো, বিশেষত রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে নিবিড় পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে।"
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে ইরান ও চীনের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে দুই দেশ ২৫ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক সই করে, যাতে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ বাণিজ্য, অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আরাঘচির এই সফর পশ্চিমা চাপের মুখে ইরানের কূটনৈতিক জোট শক্তিশালীকরণের অংশ, যেখানে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা হচ্ছে।

