
এ বছরের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী— মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল এবং শিমন সাকাগুচি। তাঁরা দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কীভাবে নিজ কোষকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখে, সে বিষয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
নোবেল কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁদের গবেষণায় ‘পরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ নামে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া উদ্ঘাটিত হয়েছে, যা অটোইমিউন রোগ প্রতিরোধে মৌলিক ভূমিকা রাখে।
জাপানের ইমিউনোলজিস্ট শিমন সাকাগুচি প্রথম ১৯৯০-এর দশকে এই ধারণা দেন যে দেহে বিশেষ এক শ্রেণির কোষ আছে, যারা প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। পরে মার্কিন গবেষক মেরি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড র্যামসডেল আবিষ্কার করেন Foxp3 নামের একটি জিন, যা এসব রেগুলেটরি টি সেল–এর (Regulatory T cells) কার্যক্রম নির্ধারণ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে অটোইমিউন রোগ, ক্যানসার চিকিৎসা, ও অঙ্গ প্রতিস্থাপন–সংক্রান্ত নতুন থেরাপির পথ প্রশস্ত করবে।
পুরস্কার হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানী যৌথভাবে পাবেন ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা।