
গাজা নিয়ে নিজের ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে মতামত জানানোর ব্যাপারে হামাসকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মুসলিম বিশ্বের আট দেশের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলি জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, যার মাধ্যমে গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। এরপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে, যার নাম হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরাইলি ও আরব নেতারা তার পরিকল্পনাটি গ্রহণ করেছেন এবং আমরা কেবল হামাসের জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি বলেন, তার গাজা শান্তি পরিকল্পনায় রাজি হওয়ার জন্য হামাস তিনি বা চার দিন সময় পাবে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে হুমকি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘যদি এই শেষ সুযোগের চুক্তিতে পৌঁছানো না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন নরক ফেটে পড়বে যা আগে কেউ কখনও দেখেনি।’
ট্রাম্প আরও হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘হামাসের সদস্যরা ঘেরা ও সামরিকভাবে আটকা পড়ে আছে’। তিনি আদেশ দিলেই ‘তাদের জীবন দ্রুত শেষ হয়ে যাবে’। তিনি নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজার সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে নিরাপদ অঞ্চলে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করা মানুষদের যথাযথভাবে যত্ন নেয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল আল জাজিরাকে বলেছেন, হামাস শিগগিরই মার্কিন প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধ শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে হামাসের অধিকার আছে এমনভাবে মত প্রকাশ করার যা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং তারা সময়ের চাপে সিদ্ধান্ত নেবে না।’
খবর -আল জাজিরার