
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে আশ্বস্ত করেছেন- যতদিন তিনি ক্ষমতায় আছেন, চীন তাইওয়ানে সামরিক আগ্রাসন চালাবে না।
রয়টার্সজানিয়েছে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা জানান। তিনি শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে বসবেন।
ফক্স নিউজের স্পেশাল রিপোর্ট অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি আমাকে বলেছেন, যতদিন আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকব, তিনি তাইওয়ান আক্রমণ করবেন না। আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তবে তিনি এটাও বলেছেন, চীন খুব ধৈর্যশীল।’
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর জুনে দুই নেতার প্রথম ফোনালাপ হয়। এর আগেও চীনের প্রেসিডেন্ট শী'র ফোন করার খবর জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে, তিনি সময় উল্লেখ করেননি।
চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে একে ‘পুনর্মিলিত’ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে তাইওয়ান সবসময় এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে তাইওয়ানকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ইস্যু” বলে উল্লেখ করে। দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, “মার্কিন সরকারকে এক-চীন নীতি ও তিনটি চীন-মার্কিন যৌথ বিবৃতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকতে হবে এবং তাইওয়ান ইস্যুতে সতর্ক অবস্থান নিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী এবং আন্তর্জাতিক সমর্থক হলেও, দ্বীপটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানায়নি তাইওয়ান সরকার। তবে শনিবার তাইওয়ানের শাসক ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা ওয়াং টিং-ইউ বলেন, ‘আমাদের প্রধান মিত্রদের সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু নিরাপত্তা কখনো শত্রুর প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করতে পারে না, আবার কেবল বন্ধুদের সহায়তার ওপরও নয়। নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করাই মূল বিষয়।’