ইসরায়েলের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। এবার ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলিদের বুকে কাঁপন ধরায় তেহরান। এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, ইরান আবারও শত শত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলকে আক্রমণ করেছে। এই হামলা ব্যর্থ হয়েছে। এটি প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে কারণ আমাদের আছে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-কে এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য প্রশংসা করি। একইসঙ্গে, সতর্কতা এবং দায়িত্ববোধের জন্য ইসরায়েলের নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমি যুক্তরাষ্ট্রকেও আমাদের প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইরান একটি বড় ভুল করেছে, এর মূল্য দিতে হবে। তেহরান আমাদের আত্মরক্ষা এবং শত্রুদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার দৃঢ়তা অনুধাবন করতে পারেনি। সিনওয়ার এবং দেইফও না, নাসরাল্লাহ বা মোহসেনও তা পারেনি। সম্ভবত তাদের কেউ পারেনি। কিন্তু তারা শিগগিরই বুঝবে। আমরা সেই নীতি মেনে চলব যা আমরা স্থির করেছি; যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের আক্রমণ করব। এই নীতি সত্য যেখানে আমরা শয়তানের অক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এটি গাজা, লেবানন, ইয়েমেন এবং সিরিয়াতেও সত্য এবং এটি ইরানেও সত্য। আমরা সর্বত্র শয়তানের অক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, দক্ষিণ লেবানন ও গাজায় যেখানে আমাদের বীর সৈন্যরা সক্রিয় রয়েছে।
বিশ্ব শক্তিকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি, বিশ্ব শক্তিগুলোকে একত্রিত হতে হবে এবং আয়াতুল্লাহদের অন্ধকার শাসনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে, যা আমাদের অঞ্চলের সন্ত্রাস ও অশুভতার মূল উৎস। তাদের ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াতে হবে। রোশ হাসানাহের প্রাক্কালে আমি আপনাদের বলছি, ইসরায়েলের নাগরিকগণ; ইসরায়েল অগ্রগতির পথে রয়েছে এবং শয়তানের অক্ষ পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যা করা প্রয়োজন তা করব।
নেতানিয়াহু গাজায় বন্দিদের ফিরিয়ে আনা, ইসরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষা এবং দেশটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেন।