গেল ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগের বছরগুলোর মতো এবছরও পূজার আগে ইলিশ রফতানির আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ।
২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৪৯ জন রফতানিকারককে ইলিশ রফতানির বরাদ্দ দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশের জিআই পণ্য ইলিশের প্রথম চালান ঢুকল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এদিন দুটি ট্রাকে প্রায় ৭ টন ইলিশ ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতের ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, শুক্রবার সকালে হাওড়ার ফিস মার্কেট থেকে নিলামে তোলার মধ্যদিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ইলিশ বিক্রি শুরু হবে।
তাই শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতাসহ শহরতলীর বাজারগুলোতে মিলবে এই ‘রুপালি শস্য’।
২০১২ সালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থানীয় মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিদেশে ইলিশ রফতনি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও এর প্রায় ৭ বছর পর ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজার আগে প্রতি বছরই উপহারের মোড়কে বাণিজ্যিক চালান পাঠানো শুরু করে বিগত হাসিনা সরকার।
তবে ৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশের নতুন পটভূমিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন সমীকরণ সামনে আসায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ইলিশ রফতানি। প্রথমদিকে ভারতে ইলিশ না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানালেও, পরে বৃহত্তর স্বার্থে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ড. ইউনূস সরকার।
এদিকে তিন হাজার টন পাঠানোর সরকারি ঘোষণা থাকলেও, ৪৯ জন রফতানিকারককে বণ্টন করে দেয়া হিসাব বলছে, ঘোষণার ৩ হাজার থেকে আরও ৩০০ টন কম ইলিশ রফতানির সরকারি আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।