
ইসরায়েলের হাজারো বিক্ষোভকারী গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা জাতীয় কর্মদিবসে বিক্ষোভ-অবরোধের ডাক দিয়েছেন, যার ফলে স্কুল, ব্যবসা ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভের মুখে কার্যত অচল হয়ে গেছে দেশটি।
রোববার (১৭ আগস্ট) হাজারো মানুষ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের সঙ্গে আলোচনা এবং জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পতাকা ও জিম্মিদের ছবি হাতে নিয়ে স্লোগান দেন, পাশাপাশি হর্ণ ও ড্রাম বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান। এসময় তেল আবিব ও জেরুজালেমের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করা হয়। তেল আবিবের একটি পাবলিক স্কয়ারে জিম্মি মাতান অ্যাংরেস্টের মা আনাত অ্যাংরেস্ট বলেন, আজ সবকিছু থেমে গেছে, আমরা সর্বোচ্চ মূল্যবোধকে স্মরণ করছি এটাই জীবনের স্বার্থকতা।
বিক্ষোভে ইসরায়েলি হলিউড অভিনেত্রী গাল গ্যাডটও অংশ নেন। জিম্মিদের পরিবারের ডাকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অনেকে নিজ নিজ কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্ধদিবস ছুটি দেয়। তবে কর্মদিবস হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, বিক্ষোভে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে তেল আবিব ও জেরুজালেমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্ক সংকেত বাজলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ স্থগিত হয়ে যায়। তবে ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
এদিন মন্ত্রিসভায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “যারা হামাসের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চাইছে, তারা কেবল হামাসকে শক্তিশালী করছে এবং জিম্মি মুক্তির পথ আরও দীর্ঘ করছে। এমন দাবি ৭ অক্টোবরের ট্র্যাজেডিকে ফিরিয়ে আনবে।” তিনি আরও জানান, তার সরকার গাজা দখলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তবে গাজার একটি বড় অংশ এখনও ইসরায়েলের দখলে না আসায় সরকারের এ অবস্থান নিয়ে দেশটিতে অসন্তোষ বাড়ছে। জিম্মিদের পরিবারগুলোও আশঙ্কা করছে, সামরিক অভিযান বিস্তৃত হলে তাদের প্রিয়জনদের জীবন আরও ঝুঁকিতে পড়বে। ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, হামাসের হাতে এখনও প্রায় ৫০ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর রয়টার্স