
কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ ও আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তুর্ক বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর দোহায় ইসরায়েলের হামলা শুধু আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ও মধ্যস্থতার প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি আঘাত।’
হামাস দাবি করেছে, ওই হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হলেও শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান। ঘটনাটি উপসাগরীয় দেশগুলোকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়িয়েছে।
কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মারিয়াম আল মিসনাদ বলেন, দোহায় হামলা ছিল ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ এবং এটি পুরো অঞ্চলের জন্য সরাসরি হুমকি। তিনি কাউন্সিলকে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
আলজেরিয়া ও পাকিস্তানও কাতারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ইসরায়েলের নিন্দা জানায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাতারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে, জেনেভায় সাংবাদিকদের ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল মেরন বলেন, এই বৈঠক কেবল ইসরায়েলবিরোধী প্রচারণার মঞ্চে পরিণত হয়েছে এবং হামাসের নৃশংসতা উপেক্ষা করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সতর্ক করে বলেন, এই হামলা গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এদিকে, আলাদা এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন অভিযোগ করেছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ নেতারা এ কাজে উস্কানি দিয়েছেন। তবে ইসরায়েল অভিযোগগুলোকে ‘কেলেঙ্কারিপূর্ণ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র: রয়টার্স