
চীনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৩১ আগস্ট) বন্দর শহর তিয়ানজিনের লাল গালিচায় পা রাখেন চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র পুতিন।
এর আগে চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে চীনে পৌঁছান মোদি।
সম্মেলনের আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনাও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সাত বছরের মধ্যে এটি মোদির প্রথমবারের মতো চীন সফর।
এই শীর্ষ সম্মেলন এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের রাশিয়ান তেল ক্রয় অব্যাহত রাখার শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের জন্য পুতিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির সম্মুখীন।
বেইজিং সমর্থিত এসসিওতে ১০টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে - যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, ইরান এবং ১৬টি সংলাপ অংশীদার এবং পর্যবেক্ষক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ সম্মেলনটি মূলত প্রতীকী। তবে এতে নেতারা সাধারণ এবং অভিন্ন স্বার্থ প্রকাশ করতে পারবেন।
২০০১ সালে চীন, রাশিয়া এবং চারটি মধ্য এশিয়ার দেশ ন্যাটোর মতো পশ্চিমা জোটের প্রভাব সীমিত করার জন্য এই সংস্থাটি তৈরি করেছিল। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বছরের সমাবেশটি সবচেয়ে বড়।
রাশিয়ার প্রতিবেশী এবং বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীনে চার দিনের বিরল এই সফরে পুতিনকে শহরের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিয়ানজিনে মোদি ও পুতিনসহ প্রায় ২০ জন বিশ্ব নেতাকে আতিথ্য দেবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভি তাদের আগমনের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ‘ইতিহাসের সেরা’ পর্যায়ে রয়েছে। যা প্রধান দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল, পরিপক্ক এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সূত্র: বিবিসি