

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় ঘাতককে গ্রেফতার করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ আবির (২৫)।
লালবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মোঃ হোসেন (২৪) ও ঘাতক মোঃ আবির উভয় পূর্ব পরিচিত। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকায় লালবাগ থানাধীন তালারপাড় এলাকায় উভয়ের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হলে মোঃ হোসেন স্থানীয় মুরুব্বীদের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে বাসায় চলে যায়। মোঃ হোসেন স্থানীয় মুরুব্বীদের কথায় সন্তুষ্ট হলেও ঘাতক মোঃ আবির ক্ষীপ্ত হয়ে ভিকটিমের উপর রাগ পোষন করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে।
লালবাগ থানা সূত্রে আরও জানা যায়, হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৩:৩৫ ঘটিকায় মোঃ হোসেন (২৪) তার কর্মস্থল হাজী মোঃ বিল্লাল মিয়ার ইমিটেশনের কারখানা থেকে দুপুরের খাওয়ার উদ্দেশে বাসায় ফেরার পথে লালবাগ থানাধীন শহিদনগর ২নং গলি সংলগ্ন জনৈক দুলালের দোকানের সামনে পৌঁছালে মোঃ আবির তার হাতে থাকা সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পিঠে আঘাত করে। ছুরির আঘাতে মো: হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবির পুনরায় তার বুকে, পেটে ও বাম হাতের কনুইতে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভিকটিমের পেট ফেটে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায় এবং সে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ওপর পড়ে থাকে। উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এলে ঘাতক দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা শাহ আলম বাদী হয়ে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজুর পর লালবাগ বিভাগের একটি আভিযানিক দল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১২.০৫ ঘটিকায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে ঘাতক মোঃ আবিরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আবিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।