

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানার দ্রুত ও সমন্বিত অভিযানে অপহরণের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপহরণ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার এবং অপহরণ কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ ভিকটিমের নিজস্ব গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-১। মোঃ ফারুক হোসেন (৩৬) ২। মাহবুব মুন্সি (৩৮) ৩)। অনিক (২৩) । ৪। মো: জসিম (৩৬) ৫। মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন (৩২) ৬। মাহাদি সরকার রাকিব (৩০) ও ৭। শিল্পী আক্তার ওরফে রানী (৪৬)।
খিলক্ষেত থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকাল আনুমানিক ০৫:০০ ঘটিকায় নিকুঞ্জ এলাকা থেকে জনৈক জিয়াউল মাহমুদ (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে ছয়/সাতজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জোরপূর্বক একটি কালো রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা ওই সময় ভিকটিমের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িটিও নিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই ভিকটিমের স্ত্রী খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর থানার আভিযানিক দল দ্রুততর সময়ে ঘটনাটি তদন্ত ও ভিকটিম উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের দলটি অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকায় খিলক্ষেত থানার একটি আভিযানিক দল আশুলিয়া থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত জিয়াউল মাহমুদকে নিরাপদে উদ্ধার করে। একই সময় অপহরণ চক্রের সাতজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজতে থাকা ভিকটিমের গাড়িটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।