শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন: ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউ টাউন থানার গৌরাঙ্গনগর গ্রামের সুরঞ্জন সরকারের ছেলে প্রকাশ সরকার (৩৯) এবং বিধু সরকারের ছেলে দিলু সরকার (২০)।
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক বলেন, মধ্যরাতে ভোমরা আইসিপি দিয়ে ভারতীয় মদ্যপ চালক ও তার সহকারী একটি সাদা পিকআপ চালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় চেকপোস্টে কর্তব্যরত নায়েক মো. জিহাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল তাদেরকে নিবৃত করে এবং মদ্যপ অবস্থায় পিকআপসহ আটক করে।
আটককৃত চালক ও তার সহকারী অতিরিক্ত মাদক সেবনে মাতাল অবস্থায় থাকায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়। পরে তাদেরকে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে যাওয়া হয়।
নেশা কেটে গেলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউ টাউন থানার গৌরাঙ্গনগর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে রাত দেড়টার দিকে বিজিবির ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার ও বিএসএফের গোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিবির ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় ভোমরা স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে ক্রসিং গেট, ৩টি রোড ডিভাইডার, বাঁশকল চেকপোস্টের গেট, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ইজিবাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।’
প্রতিবাদের উত্তরে ঘোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবীন কুমার বলেন, ‘গাড়িচালক অতিরিক্ত মাত্রায় মাদকদ্রব্য সেবন করে মাতাল অবস্থায় অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ৩-৪টি ইজিবাইক এবং গোজাডাঙ্গা আইসিপির ২টি গেট ভেঙে ভোমরা স্থলবন্দরের দিকে যায়। এ সময় বেপরোয়া গতির কারণে বিএসএফ টহলদল তাদেরকে নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়।
এ ব্যাপারে তিনি বিজিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী উল্লেখিত ভারতীয় নাগরিকগণকে থানায় হস্তান্তর ও মামলা রুজু করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।