
রাজধানীতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। জহিরুল (২২) ২। আলমগীর (৩২) ৩। মেহেদী (২১) ও ৪। ইয়ামিন (১৯)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানার একটি টিম।
মিরপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ সজিবুল ইসলাম রাসেল (২২) একজন অটোরিকশা চালক। গত ৩ আগস্ট ২০২৫ দুপুর ৩:০০ ঘটিকার দিকে মিরপুর-১০ গোল চত্বরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার অটোরিকশা ভাড়া নেন। অটোরিকশা নিয়ে তারা প্রথমে শের-ই-বাংলা নগরের জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে যায়, পরে মোহাম্মদপুরের শ্যামলীতে ১০ নং কমার্শিয়াল প্লট, ২ নং খিলজি রোডে পৌঁছায়। সেখানে আরও দুইজন তাদের সাথে গাড়িতে উঠে। এক সময় চালককে কৌশলে একটি বেকারি থেকে রসমালাই খাওয়ায়, যাতে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো ছিল। ভিকটিম রাসেল বিকেল আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকার দিকে অচেতন হয়ে পড়েন। চোরেরা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ভিকটিম রাসেলের জ্ঞান ফিরে আসে ৬ আগস্ট ২০২৫ রাত ৮.০০ টার দিকে, তখন সে জানতে পারে একজন অজ্ঞাত রিকশা চালক তাকে মিরপুর-১০ এ তার বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। ভিকটিম রাসেলের অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
থানা সূত্র আরও জানায়, মামলাটি রুজুর পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে আদাবর থানার সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে জহিরুল, আলমগীর, মেহেদী ও ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে। তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।