

প্রেমের সম্পর্ক তৈরি নিয়ে জটিলতার জেরে গাড়িচালক সাইদুর ইসলাম সৌরভ (২৭) কে রাজধানীর গুলশান লেকের রাস্তার ওপর নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-১। রুবেল (২৩) ২। শামীম ওরফে পিচ্চি শামীম (২৭) ও ৩। মোঃ আকাশ (২২)।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, ১০ নভেম্বর গুলশান লেকের রাস্তার ওপর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বোনের স্বামী মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গুলশান থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর থানা পুলিশের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে। একপর্যায়ে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পিরোজপুর সদর থানাধীন বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রুবেলকে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভাটারা থানাধীন বালুর মাঠ হাজারী গলি এলাকা থেকে আকাশকে ও মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকা থেকে শামীম ওরফে পিচ্চি শামীমকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত রুবেল প্রায় দুই বছর আগে ভাটারা থানার খিলবাড়িরটেক এলাকায় জনৈক মামুনের বাসায় ভাড়া থাকত। নিহত সৌরভ ছিলো বাড়িওয়ালা মামুনের গাড়িচালক। সেই সুবাদে রুবেলের বাসায় যাতায়াত ছিলো সৌরভের। এক পর্যায়ে মামুনের মেয়ের সঙ্গে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং রুবেলের স্ত্রীর দিকেও তার নজর পড়ে। এসব কারণে বাড়ির মালিক মামুন দেড় বছর পূর্বে সৌরভকে চাকরিচ্যুত করে। পরবর্তীতে সৌরভ আবার মামুনের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দেওয়ার জন্য রুবেলকে চাপ দেয়। পরে রুবেল এলাকা ছেড়ে চলে যায় এবং সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে রুবেল সহযোগীদের নিয়ে গুলশান লেকের রাস্তার ওপর সৌরভকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত রুবেল বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।