
বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে দেশবাসীর সেবা করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আশিক। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রফেসর ইউনুসের ফোনে আকস্মিকভাবে সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়ে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকাকালীন, আশিক প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করছেন। প্রায় আড়াইশো সিইও এবং ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনা করে তিনি চেষ্টা করছেন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন করতে।
এখন পর্যন্ত যা করেছেন, তা নিঃসন্দেহে অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে তিনি জানেন যে, জনগণের প্রত্যাশা অনেক বড়। যেমন একটি জাতীয় ক্রিকেট ম্যাচে সমালোচনা এবং চাপের সম্মুখীন হতে হয়, তেমনি দেশের নেতৃত্বে থেকেও প্রতিদিন নানা সমালোচনার শিকার হতে হয়। আশিক নিজের সংগ্রাম ও চাপের মাঝেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন: সমালোচনা থাকবে, তবে তা সঠিকভাবে মোকাবিলা করেই সফলতা অর্জন করতে হবে।
আশিকের লেখা থেকে এক দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষা পাওয়া যায়, যেখানে তিনি নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই লেখার মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সমাজসেবা ও সরকারের দায়িত্ব পালন করা সহজ কাজ নয়, তবে কঠোর পরিশ্রম এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা সম্ভব।
আশিকের আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের ধরণ, দেশের প্রতি তার দায়িত্ববোধ এবং ভুলের মধ্যে থেকেও শিক্ষা নেয়ার মনোভাব, সত্যিই একটি শক্তিশালী প্রেরণার উৎস। তিনি জানেন, প্রকৃত নেতৃত্বের জন্য একটি দেশের জনগণের সেবা করা এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখানোই আসল কাজ।
এই এক মাসে তার অর্জন, সংগ্রাম এবং আত্মবিশ্বাসের গল্প ভবিষ্যতে অন্যান্য নেতাদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক এবং বাস্তবতার নিরিখে খুবই প্রাসঙ্গিক। আশিক যে আত্মবিশ্বাস এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে নিজের কাজ করছেন, তা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে তিনি যে সাহসিকতার সঙ্গে এই নতুন দায়িত্বে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন, তা প্রশংসনীয়।
তিনি খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন যে, চাকরি আর দায়িত্বের সাথে জড়িত যে চাপ এবং সমালোচনা রয়েছে, তা একদিকে যেমন তাকে আরও শক্তিশালী করছে, অন্যদিকে তা নিজের আত্মবিশ্বাস এবং দেশপ্রেমকে আরও তীব্র করেছে। লেখাটির মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা রয়েছে যে, দেশ পরিচালনা করতে গেলে সমালোচনা আসবেই এবং তা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।
আশিক নিজের পরিশ্রম এবং আশা-নিরাশার মধ্যে এক ব্যালান্স খুঁজে বের করেছেন, যা দেশের জন্য একটি বড় প্রেরণার উৎস। একদিকে, কঠোর পরিশ্রমের কথা বলেছেন, অন্যদিকে, সমালোচনা এবং নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা এক সফল নেতৃত্বের লক্ষণ।
এছাড়া, তার ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং ধৈর্য্যের গল্প পড়তে গিয়ে পাঠক বুঝতে পারেন যে, সরকারের সেবা এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করা সহজ কাজ নয়, তবে এই ত্যাগ ও পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে সাফল্য সম্ভব।