বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ছয় দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শীর্ষক যৌথ অনুশীলন মহড়া শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এ মহড়া সমাপ্ত হয়েছে। মহড়াটি ১৪ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকে শুরু হয়েছিল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালনা) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান, ওএসপি, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই মহড়া বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে শুরু হয়েছিল।
আইএসপিআর আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপদকালীন সংকট নিরসণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানসমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ মূলত আপদকালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়।
যৌথ অনুশীলন মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুইটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যগণ উক্ত মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমান বাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার, এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি প্রদান করবে বলেও আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।