২০১৮ সাল থেকে ৬ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার ৩০৭টি মামলায় চার্জশিট হয়েছে ১৭৯টির। বিচার সম্পন্ন হয়েছে ৭টির। এ ছাড়া ১৪টি মামলায় খালাস পান আসামিরা। এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা আয়োজনে শতভাগ নিরাপত্তা চেয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দাবি, সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখের পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে অন্তত ২ হাজার হামলার ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে ৭০টি মন্দির। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৭০০ পরিবার।
খুলনার দাকোপের তিন মন্দিরে দুর্গাপূজা করতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে- সম্প্রতি এমন বেনামি চিঠি পাওয়ার অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় সারা দেশে ৩০৭টি মামলা হয়েছে। চার্জশিট হয়েছে ১৭৯টির। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ৭৯টিতে কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ ছাড়া ৪৯টি মামলার এখনও তদন্ত চলছে। ৭টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৪টি মামলায় খালাস পান আসামিরা।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ার কারণেই বার বার হামলা।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনায় ১ হাজার ৭০৫টি পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। এতে রয়েছে হত্যা, নারী নির্যাতন, উপাসনালয়ে হামলা। আমরা ৬৯টি উপাসনালয়ে হামলার বিবরণী তুলে ধরেছি।’
মনীন্দ্র কুমার নাথ আরও বলেন, ‘খুলনার দাকোপে বলছে– তোমার পূজা করতে গেলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।’
এদিকে নির্বিঘ্নে পূজা আয়োজনে আশ্বস্ত করে পুলিশ বলছে, নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। নতুন হামলাগুলোরও তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘কেউ যদি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে, সে জন্য কিন্তু পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি যদি কেউ সৃষ্টি করতে চায় তাহলে পুলিশ কিন্তু সেটা সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যেকোনো ধরনের অভিযোগ যদি আমরা পাই, আমরা কিন্তু সাথে সাথে সেটির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’
সারা দেশে পূজামণ্ডপে কোনো হামলার শঙ্কা দেখা দিলে জরুরি সেবা নম্বরে কল করলে সহায়তা দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।