

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করে এমন ধরণের কোনো কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না ইসি। বলেন, এমন কর্মকাণ্ড বাধা দিতে যে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এসব কথা বলেন তিনি।
যে কোনো ধরণের সহিংসতা কমাতে কিংবা রোধ করতে আইনের মধ্যে থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আবারও যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হবে। এ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের নির্দেশ রয়েছে। যারা এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে দেয়া হবে না। মেসেজ ইজ ক্লিয়ার আর কোনো ঘটনা ঘটার সুযোগ দেয়া হবে না। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটাতে চায়, তাদের প্রতি মানবিক না হওয়ার নির্দেশ। অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার নিয়ে জোর দিয়েছে ইসি।
ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ আরও বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সব ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
গণমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনা ইসির পরোক্ষ বিষয়, এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে পারবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন উৎসবের পরিবেশকে যারা বিঘ্ন করতে চায় তারা ব্যর্থ হবে এ কথা উল্লেখ করে ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ আবারও বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদী হত্যায় উৎসবের আমেজ ব্যাহত হয়েছে। আগামীতে যারা উৎসবের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চান তারা ব্যর্থ হবেন।
তিন বাহিনীর প্রধান আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দিনকে তাদের প্রস্তুতি তারা জানিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে থাকবেন। ইসি থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে এটাও জানিয়েছেন
এদিন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দিন। দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।