গণতান্ত্রিক দেশে ছাত্র রাজনীতির একটা প্রয়োজন অবশ্যই আছে। সেটা হলো লিডারশিপ তৈরি। অস্ট্রেলিয়াতে কিংবা ব্রিটেনে বহু জাতীয় নেতা আগে ছাত্র নেতা ছিলেন। যিনি জাতীয় নেতা হবেন - বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তার লিডারশিপের একটা অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত। বাংলাদেশে এই ঘটনাটা ঘটে নাই গত ৩০ বছর। তার কারণ ছাত্রদের রাজনীতি একেবারেই লাঠিয়াল বাহিনীর রাজনীতি হয়ে গিয়েছিল।
এই সমস্যার সমাধান আসলে খুবই সহজ। দুটো সিদ্ধান্ত নিলেই লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি করা সম্ভব হবে না।
১। ১৯ থেকে ২৬ বছর বয়সের বাইরে ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না। করলে তার ছাত্রত্ব বাতিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এই নির্দিষ্ট বয়স সীমার বাইরে কারো কোনো ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে থাকা কিংবা উপদেষ্টা হওয়া যাবে না। এই অপরাধ সাব্যস্ত করবে পুলিশ বা সরকার - বিশ্ববিদ্যালয় না।
২. যে কোনো দলের যে কোনো পদে থাকলে সেই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসন সুবিধা পাবে না। তাকে ১ সপ্তাহের মধ্যে হল ছাড়তে হবে।
ইন ফ্যাক্ট - আবাসন সমস্যার একটা মোটামুটি সমাধান করলে আর একাডেমিক ক্যালেন্ডার স্ট্রিক্টলি মেইনটেইন করলে আপনি রাজনীতি করার জন্য ছাত্রদেরকে হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজে পাবেন না। (লেখাটি ফাহাম আবদুস সালামের ফেসবুক থেকে নেওয়া)