

জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ‘যমুনা অভিমুখে লংমার্চ’ কর্মসূচি শুরু করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে রাস্তায় বসে পড়েছেন শত শত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক। এতে পল্টন থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমন চিত্র দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন‘এমন কোনো দেশ নাই, চাকরি আছে বেতন নাই’, ‘ইবতেদায়ি শিক্ষক, হয়েছে কেন ভিক্ষুক’, ‘অবহেলার ৪০ বছর, মানুষ বাঁচে কত বছর’, ‘বৈষম্য নিপাত যাক, জাতীয়করণ মুক্ত পাক’, ‘এক দফা এক দাবি, জাতীয়করণ করতে হবে’। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।
লংমার্চ শুরুর আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের দাবি পুরোপুরি যৌক্তিক। দ্রুত তাদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত।
তারা আরও বলেন, টানা ২১ দিন ধরে শিক্ষকরা রাস্তায় আন্দোলন করছেন, এটি কারোই কাম্য নয়। জাতীয়করণের দাবি না মেনে সরকার দেশের লাখো ইবতেদায়ি শিক্ষকের প্রতি অবহেলা দেখাচ্ছে। আজকের মধ্যেই জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষকদের কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
প্রসঙ্গত, সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের সরকারি ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গত ২১ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রশাসনিক প্রতিহিংসার কারণে তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের ঘোষণার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও জাতীয়করণের বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় তারা রাজপথে নেমেছেন।