
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত করার মতো কোনো শক্তি নেই। প্রধান উপদেষ্টার বলা অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) মাগুরায় জুমার নামাজের পর শহীদ রাব্বি ও শহীদ আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের জন্য পুরো জাতি প্রস্তুত জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন কোনো শক্তি নেই যে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে পারে।
এরই মধ্যে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানও নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বর্ষার মৌসুম শেষ হলেই পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় নির্বাচনের হাওয়া লেগে যাবে। নির্বাচনের মহোৎসব আপনারা দেখতে পাবেন।
এ সময় সংস্কারের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, জুলাই চার্টার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ চলছে। সংস্কার কাজ অব্যাহত আছে। সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেটা দৃশ্যমানও।
বাংলাদেশে বর্ষাটা শুরু হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষাটা শেষ হলে দেখবেন পাড়ায় মহল্লায় নির্বাচনের আমেজ নেমে এসেছে। সম্ভাব্যপ্রার্থী ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। পাড়ায় পাড়ায় ভোটের অফিস হবে। এই ভোটের আমেজটা সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত যে কারো মনে যদি কোন সন্দেহ থাকে সেই সন্দেহটুকু চলে যাবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই হবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। আশা করছি সবার সহযোগিতায় সম্ভব হবে।
শফিকুল আলম বলেন, জুলাই-আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ-যুবলীগের খুনি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি। উনি ছাত্রদলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। আমি তার কবরে গিয়েছিলাম এবং একই এলাকার আলামিন ছোট ব্যবসা করতেন ঢাকাতে উনাকেও গুলি করে মারা হয়েছে, উনার কবর মাগুরা উপকণ্ঠে রয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম ফুল দিতে। মাগুরা জেলায় মোট ১০ জন শহীদ আছেন। বাকি ৮ জন প্রত্যেকের কবরস্থানে যাব।
তিনি বলেন, এই শহীদরা নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা। তাদের আত্মদানের ফলে আমরা নতুন একটা দেশ পেয়েছি। আমরা আজকের এই দিনে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি। সেজন্য তাদেরকে সম্মান জানাতে কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।