

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপাকালে এমনটা জানান তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, যারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, কঠোর হাতে দমন করা হবে। যারা এ কাজ করতে চাচ্ছে, তারা একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। সেটি প্রতিহত করার জন্যই আজকের এই মিটিং। এটা সফল হতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না ইসি, পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এ জন্যই আজকের আলোচনা। যারা এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে বসে আছেন, তাদের কীভাবে তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রার্থীরা অস্ত্র সঙ্গে নিতে পারবে কিনা, সেটি ভেবে দেখবে ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন যেকোনো ঘটনার প্রভাব তো নির্বাচনের ওপর থাকবেই, এটা অস্বাভাবিক নয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও কিন্তু নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলবে, সেটিও আমাদের আমলে নিতে হবে। সব একেবারে নির্মূল করা যাবে না। কিন্তু এটা অবশ্যই দেখতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে, নাকি করছে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, সাইবার সিকিউরিটি সেলগুলো কাজ করছে। তারা বিশেষভাবে নির্বাচনের দিকে নজর দিচ্ছে। আমাদেরও একটি সেল করা হয়েছে যেটি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে। এই সেলগুলো বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার অধীনে কাজ করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপতথ্য একেবারে শূন্য করে দেয়া সম্ভব নয়। এর প্রবণতা ঠেকাতে হবে, বিস্তার ঠেকাতে হবে। সেটিই আমরা করে যাচ্ছি। যাদের চিহ্নিত করতে পারব, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। দোষারোপের রাজনীতির সুযোগ কেউ যাতে না নিতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।