
জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যমের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে পাঁচজন উপদেষ্টা কাজ করছেন, যারা শুধু সুপারিশ নয়, সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় পর্যালোচনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যে সংস্কার জনসমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে, সেটিই টেকসই হবে। গণমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। কেবল কাগজে পরিবর্তন আনলেই স্থায়িত্ব আসবে না, প্রয়োজন মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন।’
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব সহকারে দেখে বলেই আলাদা গণমাধ্যম কমিশন গঠন করেছে। এ কমিশনের সারসংক্ষেপ ও বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা, সেলফ-রেগুলেশন, ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা এবং গণমাধ্যমের অর্থনৈতিক সক্ষমতা—এসব বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার সহায়তা করবে, তবে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে গণমাধ্যমকেই।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সভাপতিত্ব করেন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি সায়িদ আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাহী সদস্য গোলাম পারভেজ রেজা। এ ছাড়া মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনের প্রতিনিধিরা মতামত দেন।