নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে কমিশনের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে কমিশনের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ
প্রকাশিত

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি ও নারী পুরুষের সমতা অর্জনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণের সুপারিশ করেছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলুপ্তি ও নারী পুরুষের সমতা অর্জনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ চিহ্নিতকরণের সুপারিশ করেছে এ কমিশন।

এদিন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নেতারা তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিবেদন পেয়ে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সুপারিশমালায় অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কী করণীয় তা উল্লেখ করে বলেছে, ‘অভিবাসী নারী শ্রমিক ও প্রত্যাগত নারী শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান অভিবাসন আইন, বিধি ও নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যাতে তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা, সম্মান ও কল্যাণ নিশ্চিত হয়; অভিবাসী নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশের সাথে সমঝোতা স্মারক ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার এবং ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন নিশ্চিত হয়; প্রত্যাগত নারী অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণ ও কর্মসংস্থান সহজ করতে খসড়া পুনঃএকত্রীকরণ নীতি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা।’

সুপারিশমালায় আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বলা হয়েছে, সব খাতে শোভন কাজ ও বাঁচার মতো মজুরিসহ অধিক সংখ্যক নারী অভিবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক শ্রম ও অভিবাসন আইনের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের কর্মপরিবেশ ও মর্যাদা বর্তমানের চেয়ে উন্নত হবে।’

উল্লেখ্য, সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়গুলো হচ্ছে– সংবিধান, আইন ও নারীর অধিকার, সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি, নারীর অগ্রগতির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ও জাতীয় সংস্থাসমূহ, নারীর স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন, নারী ও মেয়ে শিশুর জন্য সহিংসতামুক্ত সমাজ, জনপরিসরে নারীর ভূমিকা : জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে, জনপ্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ, নারীর অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি, সকল বয়সী নারীর জন্য সুস্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সম্পদের অধিকার, শ্রম ও কর্মসংস্থান, নারী শ্রমিকের নিরাপদ অভিবাসন, দারিদ্র হ্রাসে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা, গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ, চিত্রায়ণ ও প্রকাশ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি ও বিকাশ এবং দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারী।

সংস্কার কমিশন প্রতিবেদনে সুপারিশ তৈরিতে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে তা হলো– সংবিধান ও আইন, নীতি, প্রতিষ্ঠান, কর্মসূচি, সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাবিত মেয়াদ, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে করণীয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মেয়াদে করণীয় এবং আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন।

চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ কমিশনের মেয়াদ রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ সংস্কার কমিশন মোট ৪৩টি নিয়মিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। নারী অধিকার, উন্নয়ন সংস্থা, শ্রমিক সংগঠন, পাহাড় ও সমতলের অধিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ৩৯টি পরামর্শ সভা করেছে কমিশন। আর অন্যান্য সংস্কার কমিশনের সঙ্গে ৯টি সভায় মিলিত হয়েছে।

আরো পড়ুন

No stories found.
logo
The Metro TV | দ্য মেট্রো টিভি | The Metro TV Bangladesh | Bangla News Today | themetrotv.com |The Metro TV News
themetrotv.com