সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ গ্রেইন অ্যান্ড ফিড আপডেট, আগস্ট–২০২৪’ শীর্ষক বাংলাদেশের দানাদার খাদ্যবিষয়ক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
দেশের ১৪ জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। প্রতি কেজি চালে ৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সরকারি গুদামে চালের মজুতও গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। বিশ্ব বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় এই মুহূর্তে চাল আমদানির সম্ভাবনাও কম। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে চালের বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক থাকবে। তবে নভেম্বরে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউএসডিএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে প্রায় এক মাস বিভিন্ন খাদ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এর প্রভাব চালের বাজারেও পড়েছে। তবে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্দোলনের প্রভাব পড়েনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে বছরে মোট চালের চাহিদা রয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ টনের বেশি। কিন্তু বন্যার কারণে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চালের উৎপাদন ৩ শতাংশ কমতে পারে। এই অর্থবছরে চালের উৎপাদন ৩ কোটি ৬৮ লাখ টন হতে পারে। ধান হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ কম।