
গণমাধ্যম নীতিমালার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন সংবাদকর্মীরা। সেইসাথে, লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম নীতিমালা পরিবর্তন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি- আরএফইডি’র মতবিনিময়ে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সাংবাদিকরা বলেন, এই নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। এ সময়, নীতিমালা সংশোধনে কয়েকটি প্রস্তাবও তুলে ধরেন তারা।
অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ কেউই আস্থার সংকটের বাইরে না। এটা জাতীয় সংকট। এই সংকট কাটাতে কমিশন এবং গণমাধ্যম পরস্পরকে সহায়তা করতে হবে। এ সময়, সুষ্ঠু ভোট করতে গণমাধ্যম নীতিমালায় সাংবাদিকদের অবাধ বিচরণের জন্য যা যা করা দরকার ইসি তাই করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ২৭ জুলাই গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা-২০২৫ প্রত্যাখ্যান করে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। এক যৌথ বিবৃতিতে আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিকের নির্বাচনি তথ্য জানার অধিকারকে সংকুচিত করবে। বিশেষ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ চলাচল, পর্যবেক্ষণ ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, যা সংবাদ সংগ্রহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
পাশাপাশি নীতিমালায় বিগত নির্বাচন কমিশনগুলোর মতোই প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহের শর্ত রাখা হয়েছিল, যা বাস্তবতার নিরিখে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও গতি-উভয়ের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক। এছাড়া একই ভোটকক্ষে একাধিক সাংবাদিকের প্রবেশ ও ১০ মিনিটের বেশি সময় অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।