
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক যারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য নিরাপত্তা পরামর্শ জারি করেছে কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। যেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা, ডিভাইস তল্লাশি এবং দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার মতো কার্যক্রম থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া পরিবর্তনের ফলে এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের পর এই পরামর্শটি জারি করা হলো।
প্রতিবেদনে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল যে, ট্রাম্প প্রশাসন ইরান, রাশিয়া, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া এবং বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশসহ ৪০ টিরও বেশি দেশের জন্য নতুনভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার একটি খসড়া প্রস্তাব বিবেচনা করছে।
সিপিজে বলেছে সাংবাদিকদের, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোর সাথে যাদের সম্পর্ক আছে অথবা যারা সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করেছেন, তারা সম্ভাব্য বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে পারেন।
এছাড়া সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, বিদেশি গণমাধ্যমের পেশাদার সাংবাদিকরাও সীমান্ত তদারকি থেকে মুক্ত নন এবং তাদের মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষা (সিবিপি) কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
যেসব ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রশ্নোত্তর, পাসওয়ার্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিবরণসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত বা তল্লাশি। নাগরিক নয় এমন সাংবাদিকদের প্রবেশে অস্বীকৃতি।
সিপিজে আরও জানায়, নিষিদ্ধ দেশগুলোর দ্বৈত নাগরিকত্বধারী সাংবাদিকরা অতিরিক্ত বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। যার মধ্যে রয়েছে বর্ধিত স্ক্রিনিং এবং প্রবেশ অস্বীকার।
যদিও সিপিজে জানিয়েছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবটি সামনে আসার পর থেকে কোনো সাংবাদিক সরাসরি এর মুখোমুখি হয়েছেন কিনা কিনা তা তারা জানেন না, তবে তারা সকল সাংবাদিককে ভ্রমণের আগে এসব ঝুঁকি মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
বলা হয়েছে ডিভাইসে সংরক্ষিত সংবেদনশীল তথ্য না রাখতে এবং সীমান্তে তাদের আইনি অধিকারগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের একটি ডিজিটাল সুরক্ষা চেকলিস্ট এবং নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিক্ষোভ বা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল গল্প কভার করার সময় সতর্কতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সূত্র: টিআরটি গ্লোবাল