
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে জাপানে অন্তত ১ লাখ বাংলাদেশি তরুণ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছি । তরুণদের সেখানে পাঠাতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি, আমরা ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, সার্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ কর্মীদের পাঠানো উদ্যোগ নিয়েছি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে আমরা গভীরভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আরব আমিরাত পুনরায় ভিসা চালু করেছে। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রথমবারের মতো মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু করেছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ভিসা জটিলতা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় এ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব, জর্ডান, ওমানসহ বিভিন্ন দেশে নথিপত্রের কারণে যে প্রবাসীরা ই রেগুলার হয়ে গেছেন, তাদের রেগুলারাইজ করার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তিগুলোকে পর্যালোচনা করে দেখছি যাতে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের জন্য সেগুলো স্বস্তিদায়ক হয়। দেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশের নাগরিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে তারা যাতে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পান আমরা সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর আমাদের নানা উদ্যোগের ফলে প্রায় ৮৭ হাজার বাংলাদেশি সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করতে পেরেছেন। হজের ব্যয়ও অন্যান্য বছরের তুলনায় আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছি। হাজীরা যাতে নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য ‘লাব্বাইক’ নামে অ্যাপ চালু করেছি। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই হাজীদের আত্মীয় স্বজন, পরিবার পরিজন তাদের অবস্থান প্রতি মুহূর্তে জানতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতেও আমাদের হজ ব্যবস্থাপনা প্রশংসিত হয়েছে। আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা যেন আরও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য মন্ত্রণালয় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।