বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতায় নিহত ৮৭৫ জনের ৪২২ জনই বিএনপির নেতা–কর্মী বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলেন তিনি এই দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতা–কর্মী। বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের তুলনা করা যায় না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হতে পারে। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নষ্ট করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
ধৈর্য ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি। পোশাক শিল্পে অস্থিরতার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা দায়ী।’
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক পর্যায়ে কর্মসূচি ঘিরে ১৬ জুলাই আন্দোলনে হামলা হয়। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আন্দোলন ঘিরে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষে এখনও সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত এবং ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)’। ১৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।