
আমরা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই তাহলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, মানুষ নিজের জায়গা বদলাতে পারে, কিন্তু প্রতিবেশী বদলাতে পারে না। আমরা প্রতিবেশীকে সম্মান করতে চাই, একইভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও সম্মান প্রত্যাশা করি।
সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিন স্থানীয় সময় বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বড় দেশ, তাদের সম্পদ, জনসংখ্যা, ভূমি সবই বিশাল। আমরা তাদের সম্মান করতে চাই, কিন্তু আমাদের যে ছোট্ট একটি ল্যান্ড আছে, আর ১১৮ মিলিয়ন পপুলেশন আছে, এটাকেও তাদের রেসপেক্ট করতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিমান্ড। যদি এটা হয়, তাহলে দুই প্রতিবেশী শুধু ভাল থাকব না, এক প্রতিবেশীর কারণে আরেক প্রতিবেশী বিশ্ব দরবারেও সম্মানিত হব।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ভিত্তিতে আমরা যুগের পর যুগ মিলেমিশে চলার যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, সেটিই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যে দু-চারটি কাল দাগ পড়েছে, সেগুলো উপড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ, যাতে দল-ধর্মের বিভাজনে জাতি আর বিভক্ত না হয়।
তিনি বলেন, আমরা এখন আর মেজরিটি-মাইনোরিটি- এটাও আমরা স্বীকার করি না; আমরা বলি ‘উই নিড ইউনিট’। আপনি যখনই মেজরিটি-মাইনোরিটি বলবেন, তার মানে একটা দেশকে দুভাগে ভাগ করবেন। এবং একদল আরেক দলের মুখোমুখি হয়ে যাবে। সেই কাণ্ড-কারখানাটাই তো আমরা ৫৪ বছর দেখেছি। ওটা আর আমরা দেখতে চাই না।